গুমের আরেক শিকার: র‍্যাবের হেফাজতে সজীব, আইন কী বলছে?

আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ১১:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-০৮-২০২৫ ০৩:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার কামারগাঁও এলাকার ডায়মন্ড রিসোর্ট প্রজেক্টে কাজ করতেন সজীব মিয়া। গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করেই একদল সশস্ত্র ব্যক্তি কালো মাইক্রোবাসে করে তাকে জোর করে তুলে নেয়। সজীবের স্ত্রী রুমানা আক্তার জানান, "ওরা সবাই ইউনিফর্ম পরা ছিল, র‍্যাবের গাড়ি বলে মনে হয়েছে। ওরা আমার স্বামীকে মারধর করে গাড়িতে তুলে নেয়।"  
 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সজীবকে আটকের সময় কোনো ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখানো হয়নি। র‍্যাব সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মালয়েশিয়ার একটি জঙ্গি মামলার সাথে সজীবের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে পরিবার এই দাবি মিথ্যে বলছে। সজীবের বাবা আবুল কাশেম বলেন, "আমার ছেলে কখনো রাজনীতি বা জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল না। সে শুধু একটা সাধারণ চাকরি করত।"  
 
বর্তমানে সজীবকে এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) বারিধারা হেডঅফিসে আটক রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই কর্মকাণ্ড নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয় এবং পরিবারকে জানাতে হয়। কিন্তু সজীবের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি।  
 
ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়েছে। বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক আদিলুর রহমান বলেন, "এটি একটি নগ্ন আইন লঙ্ঘন। আমরা পরিবারকে আইনি সহায়তা দেব।"  
 
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাসে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের নতুন কৌশল।  
 
সজীবের স্ত্রী রুমানা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার দুই সন্তান তাদের বাবাকে চায়। আমরা ন্যায়বিচার চাই।"  
 
ঘটনাটি নিয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসন এখনও কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্তাধীন।  
 

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]