
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৬ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েও ডি ভিলিয়ার্স খেলে গেলেন এক দুর্দান্ত ইনিংস। মাত্র ৪৭ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬০ বলে ১২০ রানে। এই ইনিংসেই ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ৯ উইকেট আর ১৯ বল হাতে রেখে জিতে নেয় ডব্লিউসিএলের শিরোপা।
ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরিতে ছিল ১২টি চার আর ৭টি ছক্কার মার। তাঁর ব্যাটিং ছিল এক কথায় চোখ ধাঁধানো—শরীরের প্রতিটি দিক থেকে শট খেলার সেই বিখ্যাত ‘৩৬০ ডিগ্রি’ স্টাইল যেন আবার জেগে উঠেছিল। অসাধারণ টাইমিং, নিখুঁত শট নির্বাচন আর শান্ত মাথায় খেলা—সব মিলিয়ে ছিল এক পরিপূর্ণ ইনিংস।
ইনিংসের মাঝপথে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে কিছুটা সময় মাঠে চিকিৎসাও নিতে হয় ডি ভিলিয়ার্সকে। কিন্তু মাঠ ছাড়েননি, ব্যথা নিয়েই দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন জেপি ডুমিনি, যিনি করেন ২৮ বলে অপরাজিত ৫০ রান।
এই জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার তো পেয়েছেনই ডি ভিলিয়ার্স, হয়েছেন সিরিজসেরাও। পুরো টুর্নামেন্টে করেছেন ৪২৯ রান—যা তাঁর ধারাবাহিকতা ও আধিপত্যের প্রমাণ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ১৯৫ রান তোলে। শারজিল খান করেন ৪৪ বলে ৭৬ রান, সঙ্গে উমর আমিন, শোয়েব মালিক এবং আসিফ আলির ক্যামিও ইনিংস। কিন্তু সেই সব ব্যাটিং মুহূর্তও ম্লান করে দেন এক ডি ভিলিয়ার্স।