
ইতালির অভিবাসন নীতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব জাস্টিস (CJEU) এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ কিছু দেশকে ‘নিরাপদ দেশের তালিকায়’ রাখা এবং সেই ভিত্তিতে দ্রুত আশ্রয় আবেদন খারিজ করা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থি।
এই রায়ের ফলে ইতালির বর্তমান সরকারের অভিবাসন পরিকল্পনা নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আলবেনিয়ায় শরণার্থী শিবির বানিয়ে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির যে কৌশল নেওয়া হয়েছিল, তা কার্যত বাতিল হয়ে গেল। রায়ে বলা হয়, কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হলে সেখানকার সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকতে হবে। ইতালির আদালত ইউরোপীয় বিচারকদের জানিয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইতালিতে আসা বাংলাদেশি অভিবাসীদের পক্ষে লড়াই করা আইনজীবীরা। তবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির দপ্তর এই রায়কে ‘অবাক করার মতো’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, এটি ইউরোপজুড়ে অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে নেয়া উদ্যোগকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা ১০ বাংলাদেশি ও ৬ মিশরীয়কে আলবেনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। দ্রুত প্রক্রিয়ায় তাদের আবেদন খারিজ করে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ তখন থেকেই সমালোচিত হচ্ছিল। এই রায়ের ফলে ইউরোপজুড়ে অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সুযোগ তৈরি হলো, বিশেষ করে যেখানে ডানপন্থি সরকারগুলো অভিবাসন কঠোর করতে তৎপর।