চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রিয়াদের বিরুদ্ধে আরও ৫ কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

আপলোড সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ০৯:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ০৯:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের পরিবারের কাছ থেকে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান রিয়াদের বিরুদ্ধে এবার নতুন করে আরও বড় অঙ্কের চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এর মাস খানেক আগেই রিয়াদ ও তার সহযোগীরা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদের অফিসে হামলা চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার চেক আদায় করে। আজাদ জানান, গত ২৬ জুন রিয়াদের নেতৃত্বে ১০–১২ জনের একটি দল তার অফিসে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। তারা তাকে ‘শেখ হাসিনার দোসর’ আখ্যায়িত করে এবং দাবিকৃত অর্থ না দিলে বাইরে অপেক্ষমাণ ২০০ লোক দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেয়।

তৎক্ষণাৎ নগদ অর্থ না থাকায় তারা তার মোবাইল ফোন ও প্রায় ৫ কোটি টাকার চেক নিয়ে যায়। যদিও পরে মোবাইলটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেকের একটি বড় অংশই আজাদের অফিস থেকে নেওয়া। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে চাঁদাবাজির সময় রিয়াদসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন: মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১), আমিনুল ইসলাম (১৩), ইব্রাহীম হোসেন (২৪) এবং আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫)। এদের মধ্যে ইব্রাহীম হোসেন মুন্না ছিলেন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক এবং সিয়াম ও সাদাব সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় সংগঠনের তিনজনকে বহিষ্কার করা হয় এবং রিয়াদসহ চারজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৭ জুলাই রিয়াদ ও অপু গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। প্রথম দফায় ১০ লাখ টাকা নেওয়ার পর, ২৬ জুলাই আবার বাকি ৪০ লাখ টাকা নিতে গিয়ে তারা ধরা পড়েন।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন পালিয়ে গেলেও বাকিদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।

এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশের সব কমিটি স্থগিত করা হয় বলে জানান সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো সংগঠন এত দ্রুত ও প্রকাশ্যে দায় স্বীকার করে এমন পদক্ষেপ নেয়নি।”

তিনি আরও জানান, “বৈছাআ’র (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো অপরাধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]