ইউরোপে পা রাখার আগেই থেমে যায় জীবনের পথচলা

আপলোড সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ০৯:০০:২০ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ৩১-০৭-২০২৫ ০৯:০০:২০ পূর্বাহ্ন

ইউরোপে নতুন জীবনের স্বপ্নে অবৈধ পথে যাত্রা করে নির্মম মৃত্যুবরণ করছেন শত শত মানুষ। গ্রিস, ইতালি ও আফ্রিকার উপকূলবর্তী দেশগুলোতে ছড়িয়ে রয়েছে পরিচয়হীন অভিবাসীদের অসংখ্য সমাধি। যাদের অনেকের নাম-পরিচয় জানা না যাওয়ায় তাদের কবরের এপিটাফে লেখা থাকে শুধু “অভিবাসী” শব্দটি। সময়ের পর সময় গড়িয়ে গেলেও তারা থেকে যান নামহীন, অচেনা।

গ্রিসের এভরস অঞ্চলের একটি পাহাড়ের কবরস্থানে প্রতি বছর শায়িত হন অনেক অনুপ্রবেশকারী। ৭৩ বছর বয়সী স্থানীয় অধিবাসী মেহমেত শরীফ দামাদোগলু নিয়মিত তাদের জন্য মোনাজাত করেন। ইউএনএইচসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, তুরস্ক-গ্রিস সীমান্তে ১১ বছরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী।

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ল্যাম্পেদুসা দ্বীপেও প্রায় একই চিত্র। উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বহু মানুষ নিখোঁজ হন কিংবা সাগরে ডুবে মারা যান। যাদের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়, তারা স্থান পান দ্বীপটির কবরস্থানে, যেখানে তাদের পরিচয় না থাকায় কবর চিহ্নিত করা হয় শুধুই “অভিবাসী” বলে।

এছাড়া আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে মৌরিতানিয়ার সাঈদ কবরস্থানেও প্রতি বছর দাফন করা হয় ইউরোপে পৌঁছাতে ব্যর্থ বহু মানুষের মরদেহ। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী, নড়বড়ে নৌকা কিংবা খারাপ আবহাওয়ায় প্রাণ হারান এসব যাত্রী। ২০২৪ সালেই দেশটির উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০০-এর বেশি মরদেহ। ২০২৫ সালের প্রথম দিকেও এমন শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়, যারা সবাই ইউরোপে স্বপ্নের আশায় যাত্রা করেছিলেন – কিন্তু আর ফিরে আসেননি।

 

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]