সফর মাস: হিজরতের স্মৃতি

আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৯:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৩:১৪:৩০ অপরাহ্ন

হিজরি বর্ষপঞ্জির দ্বিতীয় মাস সফর। অনেকের কাছে এই মাসটি শুধুই কুসংস্কার-ঘেরা সময় মনে হলেও, ইসলামি ইতিহাস ও নবীজির (সা.) জীবনীতে এই মাসের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত ও শিক্ষা।


সফর মাসের ইসলামী গুরুত্ব:


ইবাদতের সুযোগ:
ইসলামে সফর মাসকে অন্যান্য সাধারণ মাসের মতোই ইবাদতের জন্য উপযুক্ত মনে করা হয়। আল্লাহর রাহমত, ক্ষমা ও বরকত অর্জনের মাস এটি। রাসূল (সা.) বলেন:
“আল্লাহ তাআলা কোনো মাসকেই অশুভ বা কষ্টের কারণ হিসেবে নির্ধারণ করেননি। প্রতিটি সময়েই ইবাদত করলে তাতে নেকি রয়েছে।”
— (সহীহ মুসলিম)

 

আল্লাহ তাআলা বলেন:
"وَذَكِّرْهُم بِأَيَّامِ اللَّهِ"
“তাদেরকে আল্লাহর দিনগুলোর স্মরণ করাও।”
— (সূরা ইবরাহীম: ৫)


বিশেষ দোআ (সফর মাসে পড়া যেতে পারে):
اللَّهُمَّ اجْعَلْ هَذَا الشَّهْرَ بَدْءً لِكُلِّ خَيْرٍ وَنِهَايَةً لِكُلِّ شَرٍّ
“হে আল্লাহ! এই মাসকে সকল কল্যাণের সূচনা এবং সকল অকল্যাণের সমাপ্তি বানিয়ে দিন।”

 

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
ইসলামি ইতিহাসে সফর মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্যতম:

১) হিজরতের প্রস্তুতি ও গার-এ সাওরের অবস্থান
রাসূল (সা.) সফর মাসেই হিজরতের উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে মদিনায় রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নেন। গার-এ সাওরে তিন দিন অবস্থানও ছিল সফর মাসেই।


২) গাযওয়া অভিযান:
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গাযওয়া যেমন—গাযওয়া খায়বার ও গাযওয়া আবওয়া, এই মাসেই সংঘটিত হয়।


৩) রাসূল (সা.)-এর রূহানী শক্তির উত্থান:
ইতিহাসবিদরা বলেন, সফর মাসে নবীজী (সা.)-এর ওপর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওহী নাযিল হয়েছিল।

সুন্নত আমল:
যেহেতু সফর মাসে বিশেষ কোনো আমল নির্ধারিত নেই, তাই মুসলমানরা অন্যান্য মাসের মতোই নফল সালাত, রোযা, কুরআন তিলাওয়াত, ইস্তেগফার ও দোয়ার মাধ্যমে এ মাসটি অতিবাহিত করতে পারেন।



সফর মাস শুধুই একটি সাধারণ মাস নয়—বরং এটি নবীজীর (সা.) জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর স্মারক। আমাদের উচিত, এ মাসটিকে কুসংস্কার নয়, বরং শিক্ষা ও ইবাদতের আলোকে দেখার।

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]