
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ ও মসৃণ হবে।”
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে হামদর্দ মিলনায়তনে মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশের আয়োজনে মতবিনিময় ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, ওয়াকফ সম্পত্তির জটিলতা নিরসনে হাইকোর্টে একটি পৃথক বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। ওয়াকফ প্রশাসনের কার্যক্রম আইনের আলোকে পরিচালিত হবে এবং মোতাওয়াল্লীরা সম্পত্তির মালিক নন, কেবল ব্যবস্থাপক। দলিলের বাইরে কাউকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ দেওয়া হবে না, সে যত প্রভাবশালীই হোক।
ড. খালিদ বলেন, “ওয়াকফ ইসলামের একটি ঐতিহ্যবাহী ও কল্যাণমুখী ব্যবস্থা, যা রাসুল (সা.)-এর যুগ থেকেই চালু রয়েছে। ওয়াকিফরা জনকল্যাণ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই সম্পদ ওয়াকফ করেছেন। সেই উদ্দেশ্য যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং অসৎ মোতাওয়াল্লীদেরকে সতর্ক করে দেন।
সভায় মোতাওয়াল্লী সমিতির সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ১৪ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারী। উপদেষ্টা সেগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং যৌক্তিক প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। সভায় তথ্য ও গণসংযোগ পরিচালক আমিরুল মোমেনীন মানিকসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।