
ইসলামে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) তার জীবনে মিসওয়াক ব্যবহারকে এতটাই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন, “আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হলে প্রত্যেক ওয়ুদুর সময় মিসওয়াক করা ফরজ করে দিতাম” (বুখারী)।
মিসওয়াক মূলত আরাক গাছের শিকড় বা ডালবিশেষ, যা দাঁত পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। এটি শুধু শরীরিক পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবেও বিবেচিত।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে মিসওয়াকের উপকারিতা:
-
ইবাদতের প্রস্তুতি: ওযু ও নামাজের আগে মিসওয়াক ব্যবহারে মুখ পরিষ্কার হয় এবং এতে ইবাদতের জন্য আত্মিক প্রস্তুতি বৃদ্ধি পায়।
-
সুন্নতের আমল: নিয়মিত মিসওয়াক ব্যবহারে সুন্নত পালনের সওয়াব লাভ হয়।
-
ফজিলত ও পছন্দনীয়তা: নবী করিম (সা.) বলেন, “মিসওয়াক মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়” (নাসাঈ)।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:
-
দাঁত ও মাড়ির যত্নে কার্যকরী
-
মুখগহ্বরকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখে
-
দাঁতের ক্ষয় রোধ করে
-
মুখে প্রাকৃতিক সুগন্ধ বজায় রাখে
-
হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে
মিসওয়াক শুধুমাত্র একটি দাঁত পরিষ্কারের উপকরণ নয়, বরং তা ইসলামি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চা। এটি যেমন স্বাস্থ্যসম্মত, তেমনি আত্মিক শুদ্ধতার মাধ্যম। প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগেও রাসূল (সা.)-এর এই সুন্নত চর্চা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পবিত্রতার শিক্ষা দেয়।