
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সদ্য অনুমোদিত সাত ইউনিয়নের বিএনপি আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই নেতা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে দুজনকেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে এই দুই সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে কমিটিগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
নাম আসা দুইজন হলেন সাদের খলা গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে ও জেলা শ্রমিক লীগের সহ-শ্রমিক কল্যাণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং একই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে বিগত সংসদ নির্বাচনে সক্রিয় ছিলেন হান্নান মুন্সী।
জিল্লুর রহমান বলেন, “আমি বিএনপি-আওয়ামী লীগ কোনোটাই করি না। কিভাবে আমার নাম কমিটিতে এলো, বুঝতে পারছি না।”
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বিএনপি নেতা আনিসুল হক এদের অন্তর্ভুক্তিতে প্রভাব খাটিয়েছেন। তবে আনিসুল হক দাবি করেন, “আমি কাউকে কমিটিতে রাখার জন্য কোনো চাপ দিইনি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।”
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া বলেন, “জিল্লুর ও হান্নান মুন্সী আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ায় আমরা তাদের কমিটি থেকে বাদ দিয়েছি।”