
রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম জারিফ, বয়স ১৩ বছর। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
নিহত জারিফ উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকায়। জারিফ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষার্থী ছিল।
এর আগে একই দিন সকালে ও দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিক্ষার্থী—আইমান (১০) ও মাকিন (১৩)—মারা যায়। তাদের শরীরের যথাক্রমে ৪৫ ও ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। এর মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৯ জন, যাদের মধ্যে চারজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এবং আরও ১০ জন সিবিয়ার পর্যায়ের রোগী হিসেবে নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান দুর্ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই ছিল স্কুলের শিক্ষার্থী। নিহতদের মধ্যে পাইলট, দুই শিক্ষক ও দুই অভিভাবকও রয়েছেন।