থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, কেন ও কিভাবে?

আপলোড সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১০:৩১:৫৩ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১০:৩১:৫৩ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন করে সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যা ইতোমধ্যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে একটি প্রাচীন মন্দির সংলগ্ন বিতর্কিত এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩২ জন বেসামরিক নাগরিক, আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
 

মূলত মে মাসে সীমান্তে গুলিবিনিময়ে এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছিল, যা শেষ পর্যন্ত সরাসরি সামরিক সংঘর্ষে রূপ নেয়।
 

থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে মাইন পুঁতে সেনাকে পঙ্গু করার অভিযোগ এনেছে। পাল্টা অভিযোগে কম্বোডিয়া বলছে, থাই সেনাবাহিনী আকাশপথে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্য করছে। কম্বোডিয়া ট্রাক-মাউন্টেড রকেট লঞ্চার ব্যবহার করছে, আর থাইল্যান্ড জবাবে যুক্তরাষ্ট্র-নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।
 

সংঘর্ষের কারণে থাইল্যান্ড সীমান্ত এলাকা থেকে ১.৩ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে এবং কম্বোডিয়ার ১২ হাজার পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে।
 

দুই দেশের মধ্যে বহুদিন ধরেই ৮১৭ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর কেন্দ্রে রয়েছে ১১শ শতকের প্রাচীন হিন্দু মন্দির "প্রোহ বিহার" (থাই ভাষায় ‘খাও প্রা বিহান’)। ১৯৬২ সালে আইসিজে মন্দিরটি কম্বোডিয়ার বলে রায় দিলেও থাইল্যান্ড এখনো এর আশপাশের জমির ওপর দাবি করে আসছে।
 

সাম্প্রতিক উত্তেজনার পেছনে রয়েছে সমুদ্রসীমায় যৌথ জ্বালানি অনুসন্ধান, কম্বোডিয়ার নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম করে থাই মন্দিরে প্রবেশ, এবং থাই প্রধানমন্ত্রীর একটি বিতর্কিত ফোনালাপ ফাঁস হওয়া।
 

সংঘর্ষ বন্ধে গত মাসে দুই দেশ আলোচনায় বসলেও কোনো সমাধান আসেনি। কম্বোডিয়া বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তুলতে চাইলেও থাইল্যান্ড তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধান চায়।
 

সর্বশেষ, কম্বোডিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ দিয়েছে যে, থাইল্যান্ড ‘উস্কানিমূলক সামরিক আগ্রাসন’ চালাচ্ছে। তবে থাইল্যান্ড বলছে, আলোচনার পথ তখনই খোলা, যখন কম্বোডিয়া সহিংসতা বন্ধ করবে।
 

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]