
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা গড়ে বসেছিল রীতিমতো এক রানের পাহাড়—২১৪। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই রান তাড়া করাটা যে সহজ কিছু নয়, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন টিম ডেভিড। ৩৭ বলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিলেন ২৩ বল হাতে রেখেই এক ঐতিহাসিক জয়, সঙ্গে নিশ্চিত হলো সিরিজও।
ডেভিডের ইনিংসটি ছিল বিধ্বংসী। ১৬ বলে ফিফটি ছুঁয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে দ্রুত অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর মাত্র ৩৭ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি—এটিও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ড। তার ব্যাট থেকে আসে ১১টি ছক্কা ও ৩টি চার। এমন এক ইনিংসে পুরো ক্যারিবীয় বোলিং আক্রমণ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
ম্যাচের একটি সময় পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া জয়ের খুব একটা কাছাকাছি ছিল না। ৯ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৭ রান সংগ্রহ করে অজিরা। সেখান থেকেই ডেভিড ও নবাগত মিচেল ওয়েন গড়েন ১২৮ রানের দুর্দান্ত এক জুটি, যা বদলে দেয় ম্যাচের দৃশ্যপট। ওয়েন করেন ১৬ বলে ৩৬ রান, তবে মূল চমক ছিলেন ডেভিড।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শেই হোপ ৫৭ বলে অপরাজিত ১০২ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে ব্রেন্ডন কিং ৩৬ বলে ৬২ রান করেন, গড়েন ১২৫ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস শেষে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল, কিন্তু ইনিংস বিরতির পর যে ঝড় শুরু করেন ডেভিড, তাতে সেই আত্মবিশ্বাস মুহূর্তেই উবে যায়।
এই জয়ে ৩ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন টিম ডেভিড, যার ইনিংস টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।