জুমার দিন: বরকত, মাগফিরাত ও দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সুযোগ

আপলোড সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ১২:০৩:৫১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৭-২০২৫ ১২:০৩:৫১ অপরাহ্ন

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে ইসলামে জুমার দিনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দিনটি রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে মুমিনদের জন্য। হাদিস ও কুরআনের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত অপরিসীম ও অতুলনীয়।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

“জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিন।” (সহীহ মুসলিম)


এই দিনকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যেমন—গোসল, পবিত্র পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার, জুমার খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা, বেশি বেশি দরুদ পড়া এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা।


বিশেষ করে জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যেখানে বান্দা যদি আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ তা কবুল করেন।

রাসুল (সা.) বলেছেন,
“জুমার দিনে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করেন।” (সহীহ বুখারি, মুসলিম)


এই দিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে,

“যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমার মাঝে একটি নূর (আলো) জ্বলে থাকবে।” (আল-হাকেম)


তাই জুমার দিনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া, ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেকে নিয়োজিত রাখা, দোয়া ও দরুদে সময় কাটানো প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আত্মশুদ্ধি ও নেকি অর্জনের এক অনন্য সুযোগ।

 

সম্পাদকীয় :

লাইসেন্স নং: TRAD/DNCC/013106/2024 বার্তা বিভাগ: [email protected] অফিস: [email protected]

অফিস :

যোগাযোগ: মিরপুর, শেওড়াপাড়া হটলাইন: 09638001009 চাকুরী: [email protected]