ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

দেশে কমতে পারে ইন্টারনেটের দাম: বিটিআরসি

দেশে ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ-উল বারী।

 

তিনি বলেছেন, “ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি।”

 

 

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁয়ে একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

 

 

বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “ট্রান্সমিশন আলাদা করার ধারণা থেকে এনটিটিএন’র জন্ম। কিন্তু এখন এনটিটিএন আজ সমস্যা হিসেবে অভিযুক্ত। আসলে রাস্তার সঙ্গে এনটিটিএনের তুলনা করাটা যৌক্তিক নয়। কেননা, সড়ক থেকে কোনো আরোআই আসে না। ইন্টারনেটের কেন্দ্রে রয়েছে এনটিটিএন।

 

সেজন্য সরকার সর্বাত্মক সহায়তার করেছে। কোথাও কোথায় মাত্রা ছাড়িয়েছে কি না তা দেখা যেতে পারে। ১০ বছরে তারা উপজেলা হেডকোয়ার্টারে পৌঁছেছে।”

 

টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে। গ্রাহক, অপারেটর এবং সরকার সবাই চায় রোবস্ট ও ইনক্লুসিভ ডিজিটাল কানেক্টিভিটি।

 

তাই আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যবসা সুরক্ষায় নয় সেবার চাহিদায় গুরুত্ব দিয়ে রেফারির দায়িত্ব পালন করবে বিটিআরসি।”

 

 

এছাড়া বৈঠকে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে। আর এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

দেশে কমতে পারে ইন্টারনেটের দাম: বিটিআরসি

প্রকাশিত: ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

দেশে ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ-উল বারী।

 

তিনি বলেছেন, “ইন্টারনেটের দাম পানির দরে হওয়া উচিত। ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ করতে ইন্টারনেটের দাম কমাতেই হবে, যা নিয়ে কাজ করছে বিটিআরসি।”

 

 

সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁয়ে একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

 

 

বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “ট্রান্সমিশন আলাদা করার ধারণা থেকে এনটিটিএন’র জন্ম। কিন্তু এখন এনটিটিএন আজ সমস্যা হিসেবে অভিযুক্ত। আসলে রাস্তার সঙ্গে এনটিটিএনের তুলনা করাটা যৌক্তিক নয়। কেননা, সড়ক থেকে কোনো আরোআই আসে না। ইন্টারনেটের কেন্দ্রে রয়েছে এনটিটিএন।

 

সেজন্য সরকার সর্বাত্মক সহায়তার করেছে। কোথাও কোথায় মাত্রা ছাড়িয়েছে কি না তা দেখা যেতে পারে। ১০ বছরে তারা উপজেলা হেডকোয়ার্টারে পৌঁছেছে।”

 

টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে। গ্রাহক, অপারেটর এবং সরকার সবাই চায় রোবস্ট ও ইনক্লুসিভ ডিজিটাল কানেক্টিভিটি।

 

তাই আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যবসা সুরক্ষায় নয় সেবার চাহিদায় গুরুত্ব দিয়ে রেফারির দায়িত্ব পালন করবে বিটিআরসি।”

 

 

এছাড়া বৈঠকে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে। আর এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।