ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

হঠাৎ ট্রেনের ধাক্কা,অলৌকিকভাবে বেঁচে আছেন লিখন মিয়া

রংপুরের কিশোর লিখন মিয়া ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছে, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর খবর সঠিক নয়। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে লিখন, যিনি অনেকটা সুস্থ হচ্ছেন। আহতের বাবা-মা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

লিখন মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ডের মধ্য বিনাটারি গ্রামের মেহেরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় কেরানীরহাট আল ইখলাস দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে চার বন্ধু মারুফ, রনি, মোরসালিন ও আবু সিদ্দিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে সিংগিমারী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় ট্রেনের খুব কাছাকাছি থাকায় লিখন মিয়া আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ৪৬২ ডাউন বুড়িমারী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। লিখনের বাবা, মেহেরুল ইসলাম, বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এত বড় দুর্ঘটনার পর আল্লাহ আমার ছেলেকে নতুন করে জীবন দিয়েছেন।”

লিখনের মা লিলি বেগম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু আহত অবস্থায় ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে লিখনের মাথায় ১৩-১৪টি সেলাই পড়েছে এবং চিকিৎসা চলছে।

লিখনের বড় ভাই মিথুন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দেখে অবাক হয়েছি। এটা একটি ভুয়া খবর। আহত অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে এবং সে ভালো আছে।” তিনি সকল অভিভাবকদের সন্তানদের খেয়াল রাখার আহ্বান জানান, কারণ “একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না হতে পারে।”

লিখনের সহপাঠী মোরসালিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় তারা ট্রেনের থেকে কিছুটা দূরে ছিল। ভিডিও করার সময় লিখন বুঝতে পারেনি ট্রেন তার খুব কাছে চলে এসেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাব্বির জানিয়েছেন, লিখনের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।

এদিকে, রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমরা সবাই আরও সচেতন হই যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।”

লিখন মিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

হঠাৎ ট্রেনের ধাক্কা,অলৌকিকভাবে বেঁচে আছেন লিখন মিয়া

প্রকাশিত: ০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

রংপুরের কিশোর লিখন মিয়া ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছে, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর খবর সঠিক নয়। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে লিখন, যিনি অনেকটা সুস্থ হচ্ছেন। আহতের বাবা-মা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

লিখন মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ডের মধ্য বিনাটারি গ্রামের মেহেরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় কেরানীরহাট আল ইখলাস দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে চার বন্ধু মারুফ, রনি, মোরসালিন ও আবু সিদ্দিকের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে সিংগিমারী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় ট্রেনের খুব কাছাকাছি থাকায় লিখন মিয়া আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ৪৬২ ডাউন বুড়িমারী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। লিখনের বাবা, মেহেরুল ইসলাম, বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এত বড় দুর্ঘটনার পর আল্লাহ আমার ছেলেকে নতুন করে জীবন দিয়েছেন।”

লিখনের মা লিলি বেগম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু আহত অবস্থায় ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে লিখনের মাথায় ১৩-১৪টি সেলাই পড়েছে এবং চিকিৎসা চলছে।

লিখনের বড় ভাই মিথুন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দেখে অবাক হয়েছি। এটা একটি ভুয়া খবর। আহত অবস্থায় তার চিকিৎসা চলছে এবং সে ভালো আছে।” তিনি সকল অভিভাবকদের সন্তানদের খেয়াল রাখার আহ্বান জানান, কারণ “একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না হতে পারে।”

লিখনের সহপাঠী মোরসালিন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় তারা ট্রেনের থেকে কিছুটা দূরে ছিল। ভিডিও করার সময় লিখন বুঝতে পারেনি ট্রেন তার খুব কাছে চলে এসেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাব্বির জানিয়েছেন, লিখনের অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।

এদিকে, রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমরা সবাই আরও সচেতন হই যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আর না ঘটে।”

লিখন মিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।