সম্প্রতি এনবিআর থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দর ইয়ার্ডে দাহ্য ও রাসায়নিক জাতীয় পণ্য দীর্ঘদিন জমে থাকায় অগ্নি ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ছিল। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘বিপজ্জনক পণ্যগুলো দ্রুত খালাস না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই এসব পণ্য দ্রুত অফডকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
বেসরকারি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) মনে করছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে অফডকগুলোর কার্যক্রমে গতি আসবে। বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘বন্দর থেকে পণ্য দ্রুত খালাস হলে রফতানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং বন্দরের ওপর চাপ কমবে।’
তবে এ সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জের দিকও তুলে ধরেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম। তিনি বলেন, ‘অনেক অফডকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা সংরক্ষণের জায়গা নেই। এভাবে পণ্য পাঠালে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের রফতানি ও আমদানিকৃত কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৪০ শতাংশই ২১টি বেসরকারি অফডকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ৩২ লাখ ৯৬ হাজারে পৌঁছে নতুন রেকর্ড গড়েছে। একই সময় কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৩ কোটি মেট্রিক টন।