২০২৫ সালের ক্লাব বিশ্বকাপকে ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের অসহনীয় গরমে ভোগান্তি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিফা। প্রচণ্ড গরমে দিনের বেলার ম্যাচ আয়োজন নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, আসন্ন বিশ্বকাপে দিনের ম্যাচগুলো যতটা সম্ভব ইনডোর, এয়ার-কন্ডিশনড স্টেডিয়ামে আয়োজন করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ইনফান্তিনো বলেন, “তাপমাত্রা অবশ্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্যারিস অলিম্পিকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আয়োজনেও এটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে আমাদের হাতে ইনডোর স্টেডিয়ামের বিকল্প রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে এগুলোর ভালো ব্যবহার করা সম্ভব।”
এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ম্যাচ চলাকালীন তীব্র গরমে একাধিকবার পানি পানের বিরতি নিতে হয়েছে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলা সম্পর্কে চেলসির মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ বলেন, “এটি ছিল অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ তিনটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক শহরের সংখ্যা ১৬টি, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ১১টি, কানাডায় ২টি এবং মেক্সিকোতে ৩টি। ইনফান্তিনোর মতে, জুন-জুলাইয়ে ভ্যাঙ্কুভারেই তাপমাত্রা সবচেয়ে সহনীয় থাকবে।
তবে গরমের এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ক্লাব বিশ্বকাপকে আর্থিকভাবে সফল বলেই মনে করছে ফিফা। ইনফান্তিনো জানান, নতুন ৩২ দলের ফরম্যাটে আয় হয়েছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার, যা প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩৩ মিলিয়ন ডলার। “বিশ্বের কোনো ক্লাব প্রতিযোগিতা এতো আয় করে না,” বলেন তিনি।
টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও ভালো সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি ফিফার। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, পুরো আসরে প্রায় ২৫ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে, গড়ে প্রতি ম্যাচে দর্শকসংখ্যা ছিল ৪০ হাজারের বেশি। ইনফান্তিনো বলেন, “বিশ্বের খুব কম লিগেই গড়ে এত দর্শক থাকে। শুধু প্রিমিয়ার লিগই এর ব্যতিক্রম।”
রবিবার নিউইয়র্কে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি মুখোমুখি হবে পিএসজির। জানা গেছে, এই ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।