ঢাকা , শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫ , ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, পাথরঘাটার ৩ জেলে নিখোঁজ ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা, ৭ অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ১৮ কর্মকর্তার বাধ্যতামূলক অবসর! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য গোপন করলে বাতিল হতে পারে মার্কিন ভিসা ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন বাংলাদেশিদের ওপর হবে নিপাহ ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ ও সমাধান চলতি অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকার: যানবাহন ও ভবন নির্মাণে কড়াকড়ি নির্দেশনা এসএসসি ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ বাড়ছে গোমতীর পানি, ডুবছে চরের ফসল ‘জুলফিকার’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে হামলা হুথিদের সৈনিকরা জীবন দিয়ে হলেও দেশের মাটি রক্ষা করবে : বিজিবি ডিজি জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন ইসি থেকে তালিকা আইন মন্ত্রণালয়ে, যুক্ত হচ্ছে ৪৬ প্রতীক মুদ্রাস্ফীতি কমাতে চাহিদা-জোগান সমন্বয়ের তাগিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা উপদেষ্টা পরিষদে সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের গুঞ্জন, প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান সরকার ২৭ মে থেকে গাজায় ত্রাণকেন্দ্রে ৭৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা

বাড়ছে গোমতীর পানি, ডুবছে চরের ফসল

  • আপলোড সময় : ১০-০৭-২০২৫ ০৮:০৭:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৭-২০২৫ ০৮:০৭:২৫ অপরাহ্ন
বাড়ছে গোমতীর পানি, ডুবছে চরের ফসল
কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এ অবস্থায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন গোমতীর চরের কৃষকরা।
 
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। 
 
গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমা না ছুঁলেও পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে ইতোমধ্যে ডুবে গেছে নদীর দুই পাড়ের চরের কৃষি জমি। এতে কৃষের কষ্টের ফসলও ডুবে গেছে। ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরের কৃষকরা।
 
গেল বছরের বন্যায়ও চরের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। যার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। নদীর পানি বাড়লে শুরুতেই ডুবছে তাদের ফসল। এবারও ডুবেছে তাদের কষ্টের ফসল। 
 
সরেজমিন দেখা গেছে, কুমিল্লা সদর উপজেলার আমতলী ও কাচিয়াতলী এলাকায় হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে করলা, মুলা, লাউসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছিল, তা এখন পানিতে ভাসছে। ফসল ঘরে তোলার মাত্র দুদিন আগেই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এসব ফসল। গোমতী নদীর পানির বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পরিমাপ ১১ দশমিক ৭৩ মিটার হলেও পানির উচ্চতা ৬ থেকে ৮ মিটার হলেই ডুবে যায় চরের অনেক কৃষিজমি। তাই নদীর পানি বাড়লেই অনেক কৃষককে অপরিপক্ব ফসল তুলে ফেলতে হয়। অনেকেই হতাশ নিয়ে বসে আছেন নদীর ধারে।
 
আমতলী এলাকার কৃষক মো. সুজন মিয়া বলেন, ‘চরে প্রায় ৩ একর জমিতে করলাসহ নানা জাতের সবজি চাষ করেছি। আর মাত্র দুদিন পর এসব ফসল বাজারে বিক্রি করা যেত, কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে সব ফসল তলিয়ে গেছে। ব্যাংক ঋণ ও কিস্তি নিয়ে দুই বছর আগে থেকে কৃষিকাজ শুরু করেছি। আমার প্রায় ১২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। শুধু আমার নয়, এ চরে প্রায় ২০ জন কৃষক রয়েছে যাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি গুনতে হবে। গত বছরও বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এবার তার চেয়ে বেশি হয়েছে। যে মুহূর্তে ফসল ঘরে তুলব সে মুহূর্তে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ফসল। করলা যা পেরেছি সংগ্রহ করছি, অন্যান্য সব ফসল পানির নিচে। আমি এ ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব।’
 
কাচিয়াতলি এলাকার কৃষক শাহাদাত হোসেন ও মিন্টু মিয়া বলেন, ‘গত বছরের বন্যা থেকে এ বছর লোকসান বেশি হয়েছে। কারণ গত বছর জমিতে ফলন তেমন ছিল না, কিন্তু এ বছর তো ফলন তোলার মুহূর্তে বন্যার পানি ভেসে গেছে। মরিচ, ধনে পাতা, মিষ্টি কুমড়া, মুলা এসব ৬ ফুট পানির নিচে। মাচায় কিছু করলা আছে সেগুলো নৌকায় করে গিয়ে সংগ্রহ করতেছি। এছাড়া বেশিরভাগ ফসল পানিতে ভেসে গেছে। এভাবে যদি বৃষ্টি থাকে তাহলে আমাদের মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’ 
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, ‘গোমতী নদীর চরে চলতি বন্যায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে কৃষকের কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা বলা যাবে। আমরা সব উপজেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। সরকার যদি এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বরাদ্দ দেয় তাহলে তারা পাবেন।’

নিউজটি আপডেট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার-2

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
চলতি অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকার: যানবাহন ও ভবন নির্মাণে কড়াকড়ি নির্দেশনা

চলতি অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকার: যানবাহন ও ভবন নির্মাণে কড়াকড়ি নির্দেশনা