ফলাফলে দেখা গেছে, এ বছর ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৪৩ হাজার ৯৭ জন কম।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বোর্ড—৩৭ হাজার ৬৮ জন। অন্য বোর্ডগুলোতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা: রাজশাহী ২২,৩২৭, যশোর ১৫,৪১০, দিনাজপুর ১৫,০৬২, চট্টগ্রাম ১১,৮৪৩, কুমিল্লা ৯,৯০২, মাদ্রাসা ৯,০৬৬, ময়মনসিংহ ৬,৬৭৮, সিলেট ৩,৬১৪, বরিশাল ৩,১১৪ এবং কারিগরি ৪,৯৪৮ জন।
পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড—৭৭.৬৩ শতাংশ। এরপর রয়েছে যশোর (৭৩.৬৯%), কারিগরি (৭৩.৬৩%), চট্টগ্রাম (৭২.০৭%), মাদ্রাসা (৬৮.০৯%), সিলেট (৬৮.৫৭%), ঢাকা (৬৭.৫১%), দিনাজপুর (৬৭.০৩%), কুমিল্লা (৬৩.৬০%), ময়মনসিংহ (৫৮.২২%) এবং বরিশাল (৫৬.৩৮%)।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন এবং ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন। সারা দেশের ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। দুই মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হলো। এবারের মূল্যায়ন হয়েছে বাস্তব মূল্যায়ন নীতির ভিত্তিতে।