উখিয়ার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ জুবায়ের জানান, তাঁর চাচাতো ভাই মংডুর নিজ বাড়িতে ফেরার পরপরই আরাকান আর্মি সেখানে অভিযান চালায়। তারা ৫০ লাখ কিয়াত চাঁদা দাবি করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করে।
জুবায়ের বলেন, এর আগেও তাঁর আত্মীয় ব্যবসার কাজে মংডুতে অবস্থান করার সময় আরাকান আর্মির নির্যাতন ও চাঁদাবাজির শিকার হয়েছিলেন। তখন তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। প্রায় ৯ মাস পর চলতি বছরের ৩ জুলাই তিনি ফের মিয়ানমারে ফিরে যান।
তবে ফিরতি পথ খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার হামলা চালায় আরাকান আর্মি। বাড়িতে ঢুকে পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করে তারা। কোনওভাবে পালিয়ে জীবন বাঁচান ওই ব্যক্তি। পরে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে নাফ নদী পেরিয়ে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেনেছি, তাঁরা আরাকান আর্মির নির্যাতন ও চাঁদাবাজির কারণে আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) সম্প্রতি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে ৮২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ফিরে গেছেন। ২০১৭ সালের ভয়াবহ সহিংসতা ও গণহত্যার পর এই প্রথম এত বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের ঘটনা ঘটল।
তবে রাখাইন থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্যে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কঠিন মানবিক পরিস্থিতির মুখে অনেকেই বাধ্য হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যেতে শুরু করেছেন।
সূত্র: এএনএ