ভারতের গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে, বিশেষ করে পটুয়াখালী ও আশপাশের জেলায়। টানা তিনদিন ধরে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে নদ-নদীর পানির স্তর বেড়ে গেছে ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত। প্রতিদিন দুইবার জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিচু এলাকা। রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বহু গ্রাম ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে এসব অঞ্চলের মানুষ।
অন্যদিকে, কুয়াকাটা উপকূলে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড় আরও বেড়েছে। বিশালাকৃতির ঢেউ সী-বিচ সংলগ্ন সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্ভাব্য ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ুচাপের তারতম্য বেড়ে যাওয়ায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা বন্দরের জন্যও একই সতর্কতা জারি রয়েছে।
নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক জেলে সাগর থেকে উপকূলে ফিরে এলেও উপকূলজুড়ে সতর্কতা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাব: উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগের আশঙ্কা
- আপলোড সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৬-০৭-২০২৫ ১১:১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ